এ বছর (১৪৪৪ হিজরি) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে ২৪ মার্চ শুক্রবার। তবে রমজান শুরুর জন্য ২৪ মার্চ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি চূড়ান্ত করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই সময়সূচী প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১লা রমজান চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। সেহরির শেষ সময় সাবধানতার সাথে সুবহাজ সাদিকের ৩ মিনিট আগে এবং ফজরের সময় সুবহাজ সাদিকের ৩ মিনিট পরে নির্ধারণ করা হয়। তাই সতর্কতা মূলক সেহরির শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান দিতে হবে। সূর্যাস্তের পর ইফতারের সময় সতর্কতার সাথে ৩ মিনিট বাড়ানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় থেকে সেহরি ও ইফতারের ৬৪ জেলার রমজানের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোজায় সাহরি ও ইফতার গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া রোজার নিয়তও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এক্ষেত্রে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে উঠে সাহরি খাওয়া রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত।
আসলে মনের ইচ্ছাই উদ্দেশ্য। মৌখিক ভাবে উদ্দেশ্য উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়। তাই কেউ মৌখিক নিয়ত না করলেও তার রোযা পূর্ণ হবে। (সূত্র: আল-বাহরুর রায়েক: 2/452; আল-জাওহারতুন নাইরাহ: 1/176; রদ্দুল মুহতার: 3/339, 341; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: 1/195)
রোজার জন্য একটি আরবি নিয়ত বাংলাদেশে প্রসিদ্ধ - যা লোকেরা মুখে পাঠ করে। কিন্তু হাদীস ও ফেকাহর কোন কিতাবে এর উল্লেখ নেই। তবে যে কেউ চাইলে পড়তে পারেন। (তবে উল্লেখ্য যে, নিয়ত পড়ার চেয়ে নিয়ত করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।)
আরবি অর্থ
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ انْتَ السَّمِعْمِيْ
রোযার নিয়তঃ নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রামাদানাল মুবারক ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
রোযার নিয়তের অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজান মাসের ফরজ রোজা পালনের ইচ্ছা করছি। সুতরাং আমার কাছ থেকে (রোযা থেকে বিরত থাকা) কবুল করুন, নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।
ইফতারের দুয়ার আরবি উচ্চারণঃ
بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
ইফতারের বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিজকিকা ওয়া আফতারতু বিরহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
ইফতার নামাজের বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখছি এবং আপনার অনুমতি ক্রমে আমি রোজা ভঙ্গ করছি। (মুআয ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস: 2358)
Tags:
© 2025 Created by Taylor Hicks.
Powered by